মানতেই হবে, ভদ্রলোকের এলেম আছে। পাঁচ বছর পর পর ইলেকশনের মৌসুমে সেই এলেমের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। অল্প কিছু দর্শক বাদে, দেশের মানুষদেরকে দুই পক্ষে ভাগ করে তালে তালে নাচাতে থাকেন, একেবারে ওস্তাদ কনসার্ট মাষ্টারদের মত। একদিন এক পক্ষকে দিয়ে থুথু দেয়ান, তো অন্য পক্ষ তখন তা আগামীকালের জন্য জমিয়ে রাখে। আবার পরেরদিন, থুথু দেয়া পক্ষ ইতিপূর্বে দেয়া থুথু ফেরত নিয়ে জমানো শুরু করে আর অন্য পক্ষ তাঁদের সঞ্চিত থুথু দেয়া শুরু করেন। এভাবেই ওনার নাচের তালে তালে সেই দুই পক্ষ ক্রমাগত তাঁদের ভূমিকা অদল-বদল করে চলে। বিদ্যাটা বেশ অর্থকারী, ভোটের মৌসুমে ভালোই কাজ দেয়। তবু ছোট্ট একটা রিস্ক থেকেই যায়। ওনার (এবং ওনাদের) এহেন এলেমদারিতে অতিষ্ঠ হয়ে কবে না চুপ থাকা দর্শকরা আবার মঞ্চে উঠে যায়। না, তাঁরা কেউ নিজেদের মুখ থেকে বের করে থুথু দেবার জন্য সেখানে উঠবেন না। ওই সব কনসার্ট মাষ্টারদেরকে নাচিয়ে নাচিয়ে মুখ বাদে অন্য দুই দিক থেকে তরল ও আধা-তরল পদার্থ বের করার জন্যই তাঁরা মঞ্চে উঠবেন। তাতে যদি কিছু অপদার্থ দূর হয়।
তথ্যসুত্রঃ
ডিগবাজীকর
Dec 4
Posted on December 4, 2013, in Uncategorized. Bookmark the permalink. Leave a comment.
Leave a comment
Comments 0